
ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের যত্নে যুগ যুগ ধরে চন্দন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চন্দনকাঠ এমনই এক আয়ুর্বেদিক উপাদান যা প্রাকৃতিকভাবে ত্বক উজ্জ্বল রাখে। সাধারণত পাউডার হিসেবে চন্দনের গুঁড়া বিভিন্ন শপিং মলে পাওয়া যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে চন্দনের উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ত্বকের যত্নে চন্দনের উপকারিতা
১. চন্দনের গুঁড়া সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
২. ব্রণ বা প্রদাহজনিত বৈশিষ্ট্য বা সূর্যের তাপে সৃষ্ট যেকোনো ধরনের জ্বলুনি কমাতে সাহায্য করে।
৩. ত্বকের অ্যালার্জি কমায় চন্দের গুঁড়া।
৪. চন্দন ত্বকের ছিদ্র শক্ত করে তোলে। এ কারণেই অনেকেই ফেসপ্যাকে বা টোনারে চন্দন কাঠ ব্যবহার করেন।
৫. চন্দনে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ব্রণের দাগ কমায়। ধুলো এবং ময়লা থেকে ত্বকে যে ব্যাকটেরিয়া জন্মে তা দূর করে।
ব্যবহারবিধি
১. এক টেবিল চামচ চন্দন তেলে এক চিমটি হলুদ এবং কর্পূর মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগান। ব্রণ, দাগ এবং ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে সারারাত রেখে দিন।
২. এক টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া, ১ চা চামচ নারকেল তেল এবং সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
৩. চন্দন কাঠের তেল দিয়ে ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। সারারাত রেখে পরদিন হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বক নরম ও কোমল হবে।
৪. এক টেবিল চামচ শশার রস, এক টেবিল চামচ দই, এক চা চামচ মধু, আর সামান্য লেবুর রসে এক টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি করুন ফেসপ্যাক। ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করবে।
৫. এক টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ার সাথে নারকেল তেল মেশান, মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। পরদিন ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালচে দাগ দূর হবে।
৬. চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করবে।